Talim
At Al Hasanain Academic Institute, "Talim" is not just education; it's a sacred endeavor to nurture hearts and minds in alignment with the divine teachings. It's a commitment to instilling knowledge, ethics, and values that extend beyond textbooks. Join us in this journey of enlightened education, where the light of the Quran and the Sunnah guides every step, every lesson, and every aspiration.
Tarbiyah
Al Hasanain Academic Institute's commitment to "Tarbiyah" isn't just a slogan; it's a way of life. Our educators, our curriculum, and our environment all converge to create an ecosystem that nurtures minds, elevates souls, and shapes ethical leaders of tomorrow. With Tarbiyah as our compass, we strive to cultivate individuals who not only excel academically but also embody the loftiness of character that Islam champions.
Dawah
Al Hasanain's commitment to "Dawah" isn't a mere aspiration; it's a cherished reality. Our educators, students, and community members embody the principles of Islam through their conduct, reflecting the light of faith in their interactions. Through our academic pursuits, community engagement, and compassionate outreach, we strive to embody the essence of Dawah – to enlighten lives and guide hearts. Join us at Al Hasanain as we celebrate Dawah, transforming it from a concept to a spontaneous experience that uplifts humanity and embodies the radiant values of Islam.
About us
Welcome to Al Hasanain
An Institution that combines Cambridge curriculum with Islamic education.
Our aim is to provide quality education in English medium while inculcating the teachings of Islam in the hearts and minds of our students.
Visit our Facebook page for all the latest updates
জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার স্বনামধন্য সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা তাহমিদুল মাওলা (হাফিজাহুল্লাহ) আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) বাদ এশা আল হাসানাইনের ইসলাহি মাজলিসে নাসিহাহ পেশ করবেন। হযরত এর ইলম থেকে সবাইকে ইস্তেফাদার আমন্ত্রণ রইলো।
*পুরুষ ও মহিলাদের পৃথকভাবে বয়ান শোনার ব্যবস্থা রয়েছে।
শাওয়াল মাসের ছয় রোযা;ফাযায়েল ও মাসায়েল
শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাসূল (সা.) নিজে রাখতেন এবং সাহাবিদেরকে রাখতে উদ্বুদ্ধ করতেন। এই ছয় রোজার রয়েছে অপরিসীম গুরুত্ব ও ফযিলত।
হাদীস শরিফে আছে, হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمّ أَتْبَعَهُ سِتّا مِنْ شَوّالٍ، كَانَ كَصِيَامِ الدّهْرِ.
যে মাহে রমযানের রোযা রাখল এরপর শাওয়ালে ছয়টি রোযা রাখল এটি তার জন্য সারা বছর রোযা রাখার সমতুল্য হবে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬৪
এই রোজার সওয়াব আল্লাহ তায়ালা দশগুণ বৃদ্ধি করে দেন। রমজান দশ মাস সমান আর শাওয়ালের ছয় দিন দুই মাস সমান। মোট এক বছর।
এ মর্মে ইরশাদ হয়েছে, হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, রমজানের রোজা দশ মাস রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুই মাসের সমকক্ষ। এই হল মোট এক বছরের রোজা। (সুনানুন নাসায়ি কুবরা:২৮৬০)
রোজার সময়:
পুরো শাওয়াল মাস। ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা পর্যন্ত।
এই ছয় রোজা ধারাবাহিক রাখা জরুরি নয়। পুরো সময়ের ভেতর ছয়টি রোজা পূর্ণ করতে পারলেই সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।
শাওয়ালের ছয় রোযা ধারাবাহিকভাবে একত্রে রাখা যায়, আবার বিরতি দিয়েও রাখা যায়। যেভাবেই রাখা হোক তা আদায় হয়ে যাবে এবং নির্ধারিত ফযীলতও লাভ হবে।
-লাতাইফুল মাআরিফ ৪৮৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/২১৫; আলমাজমূ ৬/৪২৬-৪২৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৬২; ফাতহুল মুলহিম ৩/১৮৭; আলমুগনী ৪/৪৩৮
তবে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উত্তম। একটি বর্ণনায় ঈদের পর দিন থেকে ধারাবাহিকভাবে রাখার কথা আছে।
ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে রোজা রাখা শুরু করবে। এটাই উত্তম।
সহীহ মুসলিমের ভাষ্যকার ইমাম নববী রাহ. এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘আমাদের মনীষীদের মতে, উত্তম হচ্ছে ঈদুল ফিতরের পরের ছয় দিন পরপর রোযাগুলো রাখা। তবে যদি বিরতি দিয়ে দিয়ে রাখে বা মাসের শেষে রাখে তাহলেও ‘রমাযানের পরে’ রোযা রাখার ফযীলত পাওয়া যাবে। কারণ সব ছুরতেই বলা যায়, ‘রমযানের পরে শাওয়ালের ছয় রোযা রেখেছে।’ -শরহু সহীহ মুসলিম, নববী
মাওলানা আশরাফ আলী থানভি (রহ.) লিখেছেন, ‘সাধারণ লোকদের মধ্যে প্রসিদ্ধ আছে যে, যে ব্যক্তি শাওয়াল মাসের নফল ছয় রোজা রাখতে চায় তার জন্য ঈদের পরের দিন একটি রোজা অবশ্যই রাখা উচিত। তা না হলে ঐ ছয় রোজা হবে না। এটি একান্তই ভিত্তিহীন কথা।’ (ইসলাহি নেসাব-৭৬৯)।
আর রযমানের কাযা রোযা এবং শাওয়ালের ছয় রোযা একত্রে নিয়ত করলে শুধু রমযানের কাযা রোযা আদায় হবে। শাওয়ালের ছয় রোযা আদায় হবে না। শাওয়ালের ছয় রোযা রাখতে হলে পৃথকভাবে শুধু এর নিয়তে রোযা রাখতে হবে।
-বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৮; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৭৯; ফাতহুল কাদীর ২/২৪৮; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৪৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৭
উপকারিতা:
১. ফরজ নামাজের আগে পরে যেমন সুন্নত নামাজ আছে রমজানের ফরজ রোজার জন্য শাবান ও শাওয়ালের রোজা তেমনি। হাদীসে আছে রাসূল সা. বলেছেন, “কিয়ামতের দিন ফরজ নামাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা দিলে সেটা নফল নামাজ দিয়ে পূর্ণ করা হবে।”
অনেক সময় ফরজ রোজায় ত্রুটি ও অপূর্ণতা থেকে যায়। সেই ত্রুটি পূর্ণ হবে এই সব নফল রোজার দ্বারা।
২. রমজানের রোজার পর আবার শাওয়ালের রোজা রাখতে পারাটা রমজানের রোজা কবুল হওয়ার একটি আলামত। কারণ আল্লাহ তাআলা যখন কোনো বান্দার নেক কাজ কবুল করেন তখন অন্য আরও নেক কাজের তাওফিক দান করেন।
৩. রমজানের রোজার কারণে আল্লাহ পেছনের গুনাহ মাফ করে দেন। ফলে বান্দার উচিত কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আরও রোজা রাখা। (লাতাইফুল মাআরিফ লি ইবনি রজব-২২০-২২১)।
ঈদ উদ্যাপন : আগে ও এখন
মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতরের এই দিনটি মূলত আল্লাহ দিয়েছেন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা নিবেদনের জন্য। তিনি যে রমযানের সবক’টি রোযা রাখার এবং তাঁর ইবাদতে পুরো একটি মাস কাটানোর তাওফীক দিয়েছেন সেজন্য শোকর আদায়- এটাই ঈদের তাৎপর্য। এই মাসে রোযা রাখতে পারা এবং আল্লাহর ইবাদতের অসীম-অবারিত সুযোগ পাওয়ার যে আনন্দ মুমিন-হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়, ঈদুল ফিতর হল সেই আনন্দ প্রকাশ করার উৎসব। সে আনন্দের প্রকাশ ঘটে দলে দলে ঈদগাহে হাজির হয়ে মহান রবের কৃতজ্ঞতায় সালাত আদায়ের মধ্য দিয়ে। তাঁর মহিমা ও বড়ত্বের ঘোষণা দিয়ে তাকবীর পাঠের মাধ্যমে এবং এই সিয়ামসাধনা যেন কবুল হয় সেজন্য একে অপরের কাছে দুআ চাওয়ার মাধ্যমে।ঈদের দিন কুশল বিনিময়ের ভাষার মধ্যেই এ বার্তা রয়েছে-
تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكُمْ.
অর্থাৎ আল্লাহ কবুল করুন- রমযান মাসে ও আজকের দিনে করা আমাদের ও তোমাদের সমস্ত নেক আমল।
কুশল বিনিময়ের এই বাক্যটিই ইসলামের ঈদকে অন্যান্য ধর্মের উৎসব থেকে আলাদা করে দেয়। মুসলমানের ঈদ আশা ও ভয়ে মিশ্রিত এক সতর্ক ও সংযত আনন্দ উদ্যাপন। একদিকে খুশি- আলহামদু লিল্লাহ, রোযাগুলো রাখতে পেরেছি। অন্যদিকে শঙ্কা; কবুল হয়েছে তো! রমযান পেয়েও যদি মাগফিরাত নসীব না হয়, তাহলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্য তো কিছু নেই...। মাসব্যাপী ইবাদতের তাওফীক পেয়ে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং সেই খুশিতে তাঁর বড়ত্ব বর্ণনা করে তাকবীর পাঠ, এটাই যে ঈদের মর্মকথা। নিম্নোক্ত আয়াতই তার প্রমাণ:
وَلِتُكْمِلُواْ الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ اللهَ عَلٰى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُون.
এবং যাতে তোমরা রোযার সংখ্যা পূরণ করে নাও আর আল্লাহ যে তোমাদের পথ দেখিয়েছেন, সেজন্য আল্লাহর তাকবীর পাঠ কর ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। -সূরা বাকারা (২) : ১৮৫
আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অংশ হিসেবেই এদিন বৈধ সব উপায়ে আনন্দ করতে দেওয়া হয়েছে। একজন মুমিন শরীয়তের সীমার ভেতরে থেকে যেভাবে আনন্দ করতে পারে। ভালো খাওয়া, ভালো পরা, আপনজন ও প্রিয়জনদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ ও খোশগল্প, একে অপরকে হাদিয়া দেওয়া, আত্মীয়-স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া ইত্যাদি।এই আনন্দে যেন সমাজের সব শ্রেণির মানুষ শরীক হতে পারে, সেজন্যই সদাকাতুল ফিতরের বিধান। শুধু নিজে ভালো খাওয়া ও ভালো থাকার যে আনন্দ- অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর আনন্দ তার চেয়ে বহুগুণে বেশি। এ কারণেই দান-সদকা ও যাকাত-ফিতরার প্রতি এত উৎসাহিত করেছে শরীয়ত।
ইসলাম যে তার অনুসারীদের ধর্ম-কর্ম পালনের পাশাপাশি আনন্দ উদ্যাপনেরও সুযোগ দিয়েছে, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনদুটি তারই এক বড় নিদর্শন। ঈদের দিন বৈধ পন্থায় আনন্দ উদ্যাপনের এই অবকাশ প্রসঙ্গেই আম্মাজান আয়েশা রা. নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস বর্ণনা করেছেন:
لَتَعْلَمُ يَهُودُ أَنَّ فِي دِينِنَا فُسْحَةً، إِنِّي أُرْسِلْتُ بِحَنِيفِيَّةٍ سَمْحَةٍ.
ইহুদীরা জানবে, আমাদের ধর্মেও অবকাশ আছে। নিশ্চয়ই আমি প্রেরিত হয়েছি এমন এক শরীয়ত নিয়ে, যা সহজতা ও উদারতার গুণে গুণান্বিত। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৪৮৫৫
সালাফের ঈদশরীয়তের শিক্ষা ও শরয়ী জ্ঞানের চর্চার অভাবে এবং শরীয়া প্রতিপালনে মুসলমানদের বর্ধমান উদাসীনতার কারণে ঈদের এই যে তাৎপর্য, তা দিন দিন দৃশ্যপটের আড়ালে চলে যাচ্ছে। তার স্থানে জায়গা করে নিচ্ছে ঈদের এমন এক সংজ্ঞা এবং চিত্র ও চরিত্র, শরীয়তের মেযাজ ও রুচির সাথে যার কোনো মিল নেই। বরং বলা যায়, যে উদ্দেশ্যে রোযা ও ঈদ, তার সম্পূর্ণ বিপরীত এক স্রোত গ্রাস করে নিচ্ছে মুসলমানদের ঈদভাবনা ও ঈদ-উদ্যাপন কর্মকাণ্ডকে।ঈদের স্বরূপ ও শিক্ষা থেকে আমরা কত দূরে, সেটা বুঝতে পারব আমাদের পূর্বসূরিদের সঙ্গে নিজেদেরকে একবার মিলিয়ে নিলে। সালাফে সালেহীন ঈদকে বাধ্যবাধকতার বন্ধন থেকে মুক্তি হিসেবে দেখেননি; বরং ইসলামের অন্যতম সম্মানিত দিন হিসেবে দেখেছেন। বিভিন্ন হারামে জড়িয়ে এ দিনের পবিত্রতা লঙ্ঘন করেননি, কোনো কর্তব্য কাজে শিথিলতা করেননি। বরং এ দিনটিতে তারা নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন জায়েয খাবার ও পানীয় এবং পরিমিত ও পরিমার্জিত সাজসজ্জার মধ্যে এবং সেইসব কাজের মধ্যে, যা মুমিন-হৃদয়ে প্রফুল্লতা আনে, যেমন আল্লাহর যিকির ও তাসবীহ-তাকবীর, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং নির্দোষ হাসি-আনন্দ ও বৈধ বিনোদন। নিজের ও পরিবারের জন্য ভালো মানের খাবার ও পোশাকের ব্যবস্থা ইত্যাদি। ওয়াকী‘ রাহ. বর্ণনা করেছেন, আমরা ঈদের দিন সুফিয়ান সাওরীর সাথে বের হয়েছিলাম; তখন তিনি বললেন, এই দিনটি আমরা প্রথম যে কাজ দিয়ে শুরু করি, তা হল দৃষ্টি অবনত করা। -আলওয়ারা‘, ইবনু আবিদ দুনইয়া, পৃ. ৯৬৩
তাঁদের কাছে প্রকৃত ঈদ ছিল আল্লাহর কাছে কবুলিয়ত এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ। আলী রা. সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, তিনি রমযানের শেষ রাত্রিতে বলতে থাকতেন:
يا لَيتَ شعري! مَن هذا المَقبولُ فنُهنِّيه؟ ومن هذا المحروم فنُعزّيه.
হায়, জানা নেই, কে আমাদের মাঝে মাকবুল, যাকে স্বাগত জানাব! আর কে আমাদের মাঝে মাহরূম, যাকে সমবেদনা জানাব! -লাতাইফুল মাআরিফ, ইবনে রজব হাম্বলী, পৃ. ৩৬৯
সালাফে সালেহীন ঈদের দিন এই চিন্তাতেই বিভোর থাকতেন। তার ভেতর দিয়েই হত তাদের ঈদ উদ্যাপন। আনন্দ-বিনোদনের নামে হারাম ও গর্হিত কাজে লিপ্ত হওয়ার তো প্রশ্নই নেই। কারণ, বিবেকবান পরহেযগার মানুষের কাছে পাপাচারের পঙ্কিলতায় ডুবে যাওয়া কোনোভাবেই আনন্দের বিষয় হতে পারে না, আনন্দ উদ্যাপনের তরীকা হতে পারে না। হাসান বসরী রাহ. তাই বলেছেন:
كلَّ يومٍ لا تَعصِي اللهَ فيه فهو لك عيدٌ.
প্রতিটি দিন, যেদিন তুমি আল্লাহর নাফরমানি কর না, সেটা তোমার জন্য ঈদ। -লাতাইফুল মাআরিফ, ইবনে রজব হাম্বলী, পৃ. ৫১২
ভিন্নভাবে বললে, যেদিন আল্লাহর নাফরমানি করা হয়, সেটা ঈদের দিন হলেও ঐ নাফরমান ব্যক্তির জন্য তা ঈদ বা খুশির দিন নয়, বরং ওয়াঈদ ও অভিশাপ!
মাসিক আলকাউসার
আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ তাআলা রহমতের এই মাসে আরও একজন হাফেজ আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন। চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আনাস বিন শাহাদাত কে আল্লাহ তাআলা হাফেজ হিসেবে কবুল করেছেন।
এই নিয়ে বেশ কয়েকজন ছাত্র নির্ধারিত সময়ের আগেই হিফজ সম্পন্ন করল। ক্যাম্ব্রিজ কারিকুলামের পাশাপাশি হিফয সম্পন্ন করার যে কঠিন স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, তা আল্লাহ তাআলা সহজ ভাবে পূরণ করার তৌফিক দিচ্ছেন। আমরা আশা করছি এই পথ চলার প্রাথমিক ধাপটা যতটা কঠিন ছিল পরবর্তী ধাপ আরও সহজ হবে, এবং আমরা উম্মাহকে ধারাবাহিকভাবে দক্ষ হাফেজ ও আলেম উপহার দিতে পারবো ইন শা আল্লাহ্। প্রিয় ছাত্র আনাস বিন শাহাদাত ও আল হাসানাইনের কবুলিয়াতের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।
হিজরিবর্ষের নবম মাস, রহমতের মাস, মাগফিরাতের মাস, ইবাদতের মাস, আত্মশুদ্ধির মাস, যে মাসে আল্লাহ তা'আলা পূর্ণ কুরআন নাযিল করেছেন, এবং এই মাসে রয়েছে এমন একটি রাত, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এই মাসে আল্লাহ তা'আলা রোজা ফরয করেছেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেছেন -
‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার’।
সূরা বাকারা-১৮৩
রোযার প্রতিদান আল্লাহ তা'আলা নিজেই দিবেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন - আল্লাহ তা'আলা বলেন ‘প্রত্যেক ইবাদতই ইবাদতকারী ব্যক্তির জন্য, পক্ষান্তরে রোযা আমার জন্য। আমি নিজেই এর প্রতিদান দিব’। সহীহ বুখারী হাদীস-১৯০৪
এমন বরকতময় এবং ফযিলতপূর্ণ মাসকে সামনে রেখে ছাত্রদের মাঝে মাহে রমাদানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরতে আমরা আয়োজন করেছি "রামাদান চ্যালেঞ্জ" নামক প্রতিযোগিতা। সেই সাথে পুরো ক্যাম্পাসকে সুসজ্জিত করেছি রমাদানের আদলে।
ইলম অর্জনের পাশাপাশি ছাত্ররা যেন এখন থেকেই আমলের প্রতি আরো বেশি যত্নবান হয়, সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন বয়সের ছাত্রদের জন্য বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়েছে এই ‘রমাদান চ্যালেঞ্জ’।
আমলে পরিপূর্ণ মাহে রমাদান কাটাতে এবং রামাদানের শিক্ষাকে বাকি এগারো মাসও ধরে রাখতে এই প্রতিযোগিতা বিশেষভাবে সহায়ক হবে ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহ তা'আলা যেন আমাদের প্রত্যেকের সমস্ত নেক আমল কবুল করেন। মাহে রমাদানের অবারিত রহমত,বরকত এবং মাগফিরাত লাভের তাওফীক দান করেন। আমীন!!
When this happens, it's usually because the owner only shared it with a small group of people, changed who can see it or it's been
উস্তাদে মুহতারামের আন্তরিকতায় আমরা মুগ্ধ। আপনাদের রাহবারি আল হাসানাইনের পথচলা কে সহজ ও সুন্দর করবে।
আল্লাহ তায়ালা উস্তাদের ইলম ও আমালে বারাকাহ দান করুন।
At Al Hasanain, we are committed to providing the best possible education to the next generation. If you are looking for a quality English medium institution that instils Islamic values and principles, look no further than Al Hasanain. Join us today and give your child the gift of a lifetime.
Boys Campus
Our Speciality
Education Beyond Classroom
Age-specific education for every stage
After School Care
Schedule and tuition
We welcome students who need extra attention
Why us
The best early learning experience
- Holistic approach
- Passionate teachers
- Supervision
Kind Gestures
Small acts of kindness can go a long way in making students feel appreciated. Kindness inspires greater sense of belonging and improved self-esteem.
Appreciation
We recognise our children's efforts and achievements, no matter how small, and offer constructive feedback to help them improve and build their confidence.
Adaptability
We recognise that each student learns at their own pace. Therefore we are flexible and adaptable in our approach, providing alternative explanations or resources to accommodate diverse learning styles and abilities
Clear Communication
We use clear and concise language when explaining concepts and instructions. Avoid jargon or complex terminology that may confuse students. Encourage questions and provide thorough explanations to ensure that students understand the material.